ঢাকার ২১টি কেন্দ্রসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ডে আজ বৃহস্পতিবার ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আগামী ১৪ দিন চলবে এই টিকাদান কার্যক্রম।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃপক্ষের শিশুদের কভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনায় এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশ সরকার দেশে কভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুদের এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
পরে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে এরই মধ্যে শিশুদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
সারা দেশের ৫-১১ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে পরবর্তী ১৪ দিন এই কার্যক্রম চলবে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন এক হাজার ৮৬০টি টিম কাজ করবে। আজ ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শিশুদের উপযোগী ফাইজারের এই টিকা দুই ডোজের। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান হবে ৫৬ দিন বা আট সপ্তাহ। সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
যে শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকরা জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার আগে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য দিতে হবে।
কভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৫ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ছয়টি কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।